রাম-গুমনাম
রূপক বসু
অযোধ্যা। মিথ, ইতিহাস, রাজনীতি, রক্তপাত, আইন-আদালত থেকে সাম্প্রতিক নতুন রামমন্দির নির্মাণ—- কত অধ্যায়ই না জড়িয়ে রয়েছে এই শহরের অলিতে-গলিতে।
আবার অযোধ্যার ঠিক পাশেই সরযূ নদীর তীরে ফৈজাবাদ। নিরিবিলি ছিমছাম নিরুপদ্রব এক শহর। সেখানে ছিলেন এক অনন্য সাধারণ পুরুষ, গুমনামি বাবা। তাঁর প্রকৃত পরিচয় নেতাজির মৃত্যু রহস্যের মতোই অমীমাংসীত।
মহাকাব্যের উপান্তে রামচন্দ্রের সলিলসমাধি সরযূ তীরের গুপ্তারঘাটে। আবার সেই গুপ্তারঘাটেই গুমনামি বাবারও সমাধি… এ যেন হারিয়ে যাওয়ার ঘাট! কীভাবে যেন গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকা দুই শহর মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
রাতের অযোধ্যা ও ফৈজাবাদে কারা ঘুরে বেড়ান আজও? সরযূর তীরে দুই মহামানবেরও কি সত্যিই দেখা পেয়েছিল আত্মহত্যা করতে যাওয়া সাংবাদিক প্রতীক? নাকি যা ঘটেছিল, তা নিছকই এক কষ্টকল্পনা?
রামকথা সংগ্রহালয়ের দুটো প্যাভেলিয়ন আজও কেন তালা বন্ধ? নবনির্মিত ঝাঁ চকচকে অযোধ্যার ভেতরে কি আছে আর একটা অযোধ্যা? ফৈজাবাদ সার্কিট হাউসের সামনে অ্যাক্সিডেন্টের পরে সে দিন ঠিক কী হয়েছিল?
জবাব খুঁজে ফেরে প্রতীক। তলিয়ে যেতে থাকে ভুলভুলাইয়ার অতলে। কাদের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে সরযূর তীরে? হারিয়ে যাওয়ার আগে কেউ কি বাড়িয়ে দেবে ভরসার হাত? নাকি মিথ, ইতিহাস, ফ্যান্টাসির আড়ালেই আত্মগোপন করে থাকবে কোনো গুমনাম রহস্য?
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি