বাংলার ভোগ ভোজ নৈবেদ্য
সুকন্যা দত্ত
--------------------
আমার হরিনামে রুচি কারণ পরিনামে লুচি।' এ বড় সত্য উচ্চারণ। নিত্যপুজো থেকে তেরো পার্বণ, দেবদেবীকে ভোগ সাজিয়ে তুষ্ট করতে না পারলে বুঝি ভোজোনেষু বাঙালির শান্তি হয় না।
ভোগের গন্ধ নাকে এলেই আস্বাদনের অপেক্ষা করে বাঙালি। অঞ্চল ভেদে, সমাজ, অর্থনৈতিক অবস্থা অনুযায়ী ভক্ত মনের সাধ মিটিয়ে দু’ হাত উজার করে ভোগ সাজান। এসবের মধ্যে ফুটে ওঠে বাঙালির খাদ্য-সংস্কৃতির চিত্র। পান্তাভাত, খিচুড়ি, ফলমূল, মাছ, মাংস, ফলার কী নেই ভোজের তালিকায়! সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর লৌকিক দেবতা থেকে শুরু করে শারদীয় উৎসবের ভোগের তারতম্য তো আছেই সঙ্গে মধ্যযুগের বণিক থেকে নিষাদ জাতির অন্দরমহলের পাকশালের বিবিধ ব্যঞ্জন লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে এই গ্রন্থটিতে।
কী আছে এই বইটিতে?
১) মঙ্গলাচারে ধান-তণ্ডুল-অন্নভোগ
২) জগন্নাথদেবের ভোগ-নৈবেদ্য
৩) ব্রত পালনে ভোগ-ভোজ
৪) রাজবংশী লোকাচারে ভোগ
৫) হরগৌরীর ভোজনামচা
৬) নিষাদ জাতির ভোজন অভ্যাস
৭) মঙ্গলকাব্যে ভুরিভোজ
৮) মধ্যযুগীয় বাণিজ্যে বস্তু বদল
৯) বনেদী বাড়ির দুর্গাপুজোর ভোগ
১০) মহাপ্রভুর ভোজন ও আত্মবৎ সেবা
১১) গৌতম বুদ্ধের রসনালিপি
১২) খিচুড়িতে ভোগসজ্জা
১৩) পান্তাভোগের মজলিস
১৪) রাঢ় বাংলার লৌকিক দেবতার নৈবেদ্য
‘
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.