শাকম্ভরী
সায়ন্তন ঠাকুর
সপ্তদশ থেকে একবিংশ শতক, এ উপাখ্যান পার হয়ে এসেছে চারশোটি বছর। বারবার করে বদলে গেছে দৃশ্যপট, দেশ ,কাল, ভাষা এবং লোকাচার। এক বিদেশি পর্তুগিজ যুবার প্রেমে পড়েছে ডোমনি অহল্যা, আত্মপ্রকাশ করেছেন প্রথম বাংলা পুস্তকের রচয়িতা,কিংবদন্তীর নায়ক,বাঙালি,দম আন্তনিও দ্য রোজারিও! এসেছেন অমৃতপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ। কুমারী শাকম্ভরীর গর্ভে জন্ম নিয়েছে কাহিনীর পরবর্তী প্রজন্ম। কিন্তু শেষ অবধি এই আখ্যান অতি সাধারণ মানুষের,যাদের কথা কখনও কোনও ইতিহাসে লেখা হয়নি। কত শান্ত জনপদ সুপুরি বাগান শাপলা ফুলে ছাওয়া দীঘি কার্ত্তিকের জ্যোৎস্নালোকিত ধূ ধূ চর অতিক্রম করে সেই সব মানুষের জীবনস্রোত আজও এগিয়ে চলেছে সুদূর মোহনার দিকে। বেথুর ঝোপের গা বেয়ে কোনকালের বট অশ্বত্থের ঝুরির আড়ালে মুখ লুকিয়ে থাকা ভাঙা শ্যাওলা-ধরা পৈঠা পার হয়ে বয়ে যাচ্ছে তাদের মান অভিমান আনন্দ আর বেদনার অপরূপ সব মুহূর্ত।
সেই কাল স্রোতকেই স্পর্শ করতে চেয়েছেন লেখক, এই উপন্যাসে। এক আঁজলা জল তুলে দেখতে চেয়েছেন অনিত্য,সদা চঞ্চল জীবনের প্রতিবিম্ব।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি