ভাস্কর্য হল— দৃশ্যশিল্পের এমন একটি শাখা, যাতে শক্ত বা প্লাস্টিক উপাদানের সাহায্যে ত্রিমাত্রিক অবয়বকে উপস্থাপন করা হয়। ভাস্কর্য আমাদের অভিজ্ঞতা এবং বোধকে নানাভাবে উজ্জীবিত করে। এর মাধ্যমে আমরা আনন্দ-বেদনার উপলব্ধি পাই; এছাড়াও ভাস্কর্য আমাদেরকে বিস্মিত করে, সচেতন করে, স্মৃতিকাতরতাকে জাগ্রত করে কিম্বা নতুন স্বপ্ন দেখানো শেখায়। এভাবে আমাদের জীবনের ভাস্কর্য একটি নতুন মাত্রা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে একই সাথে ব্যক্তিগত বা সামাজিক সম্পর্ককে নিবিড় করে তোলে। ভাস্কর্যের মধ্য দিয়ে মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারা খুঁজে পাওয়া যায়। ভাস্কর্যের সূত্রপাত হয়েছিল কবে থেকে, তা দিনক্ষণ ধরে যথাযথভাবে বলা যায় না। তবে ধারণা করা হয়, প্রস্তর যুগের শুরুর দিকে ভাস্কর্যের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
ভারতের আধুনিক ভাস্কর্যের সামগ্রিক পরিচয় ও বিবর্তনের রূপরেখা ধরা আছে মৃণাল ঘোষের 'সমকালীন ভাস্কর্য' বইটিতে। আধুনিক ভাস্কর্যের সামগ্রিক ইতিহাস বাংলা ভাষায় নেই বললেই চলে। সেজন্য এই বইটি শিল্প-শিক্ষার্থী ও শিল্পানুরাগী মানুষের কাছে খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। সেই প্রয়োজনীয়তা ও আগ্রহই তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশে আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। দুটি নতুন অধ্যায় যুক্ত হয়েছে এই সংস্করণে 'আধুনিকতাবাদ থেকে উত্তরাধুনিকতা - প্রচলিতের বাইরে নতুন রূপের সন্ধান' এবং 'বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য : একটি সংক্ষিপ্ত রূপরেখা'। ফলে এ বইতে ধরা রইল প্রাচীন ভারতের ভাস্কর্য, ইউরোপের আধুনিক ভাস্কর্য এবং ভারত- বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্যের সামগ্রিক ইতিবৃত্ত। সঙ্গে রয়েছে ১৮১টি ছবি যার ভেতর দিয়ে পাওয়া যেতে পারে দৃশ্য ইতিহাসের আভাসও। ভাস্কর্যের প্রতি যাঁদের ঝোঁক রয়েছে তাঁরা এই বইটির দ্বারা বেশ ভালোভাবেই উপকৃত হবেন।
এই ওয়েবসাইটের কার্যকারিতার জন্য আমরা কুকি ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও ওয়েবসাইটের ট্রাফিক সঙ্ক্রান্ত তথ্যের জন্য আমরা কুকির সাহায্য নিই। নিচের বটন ক্লিকের মাধ্যমে আপনি সমস্ত রকমের কুকি ব্যবহারে সম্মতি জানাচ্ছেন।