তুমি কেন আধ্যাত্মিক হবে
নমিতা দেব
ভারতবর্ষ! যাঁর মাটিতে জল হাওয়ায় আমরা লালিত, জীবনশেষে আবার যে দেশের মাটিতেই আবার মিশে যাব- সেই দেশ সেই জল হাওয়া মাটিকে আমরা আমাদের জীবদ্দশায় সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারছি কি? যদি তা না পারি তবে আমার জীবনে ভারতবর্ষ বা ভারতবাসী শব্দ দুটি তো কোন অর্থই বহন করে না। এই অমূল্য মানবজীবনেরই বা কি মূল্য থাকলো? ভারতবর্ষের অমূল্য ঐতিহ্য ছড়িয়ে রয়েছে আমাদের শেকড়ে আর তাতে প্রোথিত রয়েছে জীবনকে অমূল্য সম্পদে ভরিয়ে তোলার অনন্ত ঐশ্বর্য। সেই ঐশ্বর্যকে ছুঁতে হলে জানতে হবে ভারতবর্ষকে। হ্যাঁ সেই ভারতবর্ষ- জ্ঞানের ভারতবর্ষ, আধ্যাত্মিকতার ভারতবর্ষ, যোগীর ভারতবর্ষ! সেই ভারতবর্ষ গভীরভাবে নিজেকে চিনতে শেখায়, জগত ও জীবনের গূঢ় সত্যকে উন্মোচিত করে, এক আলোকিত জীবনের সম্ভার এনে দেয়। সেই ভারতবর্ষকে জানতে হলে নিতে হয় আধ্যাত্মিকতার গভীর ও আনন্দময় পাঠ। না, আধুনিক সামাজিক শিক্ষাব্যবস্থায় আমরা এই পাঠ পাই না। আমাদের জীবনে প্রতিটি মুহূর্তে কি করছি আর কেন করছি-এই সচেতন জিজ্ঞাসাই আমাদের সেই পাঠের গভীরে নিয়ে যেতে পারে। এই গভীরতা আমাদেরকে প্রজ্ঞার আলোকে উজ্জ্বল করে, উদ্দীপ্ত করে। তথাকথিত সামাজিক সত্যের আড়ালে প্রকৃতসত্যকে আমাদের অন্তদৃষ্টিতে ফুটিয়ে তোলে। হ্যাঁ, এই হল আধ্যাত্মিকতা। তাই এই শব্দটিকে জানার, বোঝার ও সম্যকভাবে উপলব্ধি করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই লেখনী সেই উদ্দেশ্যেই এক ছোট্ট প্রচেষ্টা। আধ্যাত্মিকতা বিষয়ে প্রচলিত অন্তঃসারশূন্য ধারণার ঊর্ধ্বে গিয়ে আধ্যাত্মিকতা কি, কেন, কোথায় এর প্রয়োজন এ বিষয়ে একটি উপলব্ধিমূলক আলোচনা তুলে ধরার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা করা হয়েছে এই লেখনীতে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি