উমাপতি কুমার : ময়দানের কুমারবাবু
গ্রন্থনা : আশিস হাজরা
"I always greatly admired Kumar's work at inside-left. He was possibly a more mature player than even the Bhaduries. I have never forgotten the shot scored with his left foot by which he beat Calcutta F. C. on the last occasion I saw the sides meet. It was scored at a range of 25-30 yeards and was a goal to remember," বলেছিলেন এইচ. জি. পুলার। ১৯১১ সালের ঐতিহাসিক শিল্ড ফাইনালের রেফারি ছিলেন এইচ. জি. পুলার। তিনি আবার একজন প্রখ্যাত ফুটবলারও ছিলেন, ছিলেন ক্যালকাটা ফুটবল ক্লাবের অধিনায়ক।
পুলারের এই বক্তব্যেই বোঝা যায় উমাপতি কুমার কোন মানের খেলোয়াড় ছিলেন। পরবর্তীকালে মোহনবাগানের প্রশাসক হিসেবেও দক্ষতার পরিচয় রাখেন। ব্যক্তিজীবনেও সকলের শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন।
প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার উমাপতি কুমারের জন্ম ১৮৯৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার বর্ধমানে। পিতা রজনীকান্ত কুমার, মাতা রাধারানি দেবী।
লেখাপড়ার শুরু কিষনগঞ্জ হায়ার ইংলিশ স্কুলে, পরে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ। ১৯১৬ সালে মোহনবাগানে খেলার সুযোগ পান এবং অসামান্য দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে ১৯৩৬ সাল অবধি খেলেছিলেন ঐ একটিই ক্লাবের হয়ে। খেলতেন ইনসাউড ফরওয়ার্ড বা লেফট-ইন পজিশনে। মোহনবাগান তথা ভারতের অধিনায়কত্ব করেছেন বহুদিন।
খেলা ছাড়ার পরে জড়িয়ে পড়েন মোহনবাগানের প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে। দশ বছর ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পরে প্রধান পৃষ্ঠপোষক। একটানা ৭৫ বছর যুক্ত থেকেছেন মোহনবাগানের সঙ্গে।
১৯৯২ সালের ২০ নভেম্বর উমাপতি কুমারের জীবনাবসান ঘটে।
উমাপতি কুমারের ১২৫তম জন্মবর্ষে তাঁর পরিবারের উদ্যোগে এই বইটি পাঠকের কাছে তুলে ধরা হল।
আশিস হাজরা :
আশিস হাজরার জন্ম কলকাতায়। লেখাপড়া ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে। শব্দ নিয়ে খেলার ঝোঁক আশৈশব। প্রথম প্রেম আবৃত্তি এবং প্রথম শ্রোতা আয়না। তারপর থেকেই বাচিক শিল্পের সাথে নিবিড় সখ্যতা। লিটল ম্যাগাজিনে অল্পবিস্তর লেখাভ্যাস। নিজের খুশিতেই কবিতা লিখে চলেন। জীবিকা সূত্রে দূরদর্শনের উপস্থাপক এবং তৎসহ কমিউনিকেটিভ ইংরেজি ও আবৃত্তি শিক্ষক। আশিস শ্রীউমাপতি কুমারের কনিষ্ঠ দৌহিত্র।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.