বাল্মীকি ও কৃত্তিবাসী রামায়ণের চরিত্রনির্মাণ সাদৃশ্য-অসাদৃশ্য
লেখক: পার্শ্বনাথ রায়চৌধুরী
রামায়ণ ও মহাভারত কালজয়ী মহাকাব্য, যা ভারতীয় জীবনধারাকে যুগ-যুগ ধরে সঞ্জীবিত করে এসেছে।
মূল বাল্মীকি-রামায়ণ রাবণ বধের শেষে রাম-সীতার মিলনের পর যুদ্ধকাণ্ডেই সমাপ্ত হয়েছে। পরবর্তীকালে কোন কোন কবি আরও কাহিনি যুক্ত করে সপ্তকাণ্ড রামায়ণে পরিণত করেছেন। তাঁরা নিজেদের কোন পরিচয় না দিয়েই বাল্মীকির নামের অন্তরালে আত্মগোপন করেছেন। এখন আমরা সপ্তকাণ্ডবিশিষ্ট এই সংস্কৃত রামায়ণকেই বাল্মীকি-রামায়ণ বলে স্বীকার করি।
কৃত্তিবাসের রামায়ণও প্রবল জনপ্রিয়তার ফলে বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। শ্রীচৈতন্যের পূর্বে কৃত্তিবাসের আবির্ভাব। কিন্তু অনেকেরই বিশ্বাস, শ্রীচৈতন্যের প্রভাবে চৈতন্য-পরবর্তী কবিদের হাতে কৃত্তিবাসের রামায়ণের পরিবর্তন ঘটেছে, গৌড়ীয় ভাবাদর্শে সমগ্র রামপাঁচালি নতুন রূপ পরিগ্রহ করেছে। কিন্তু সকল কবিই পরিচয় গোপন রেখে কৃত্তিবাসের নামের মধ্যেই নিজেদের বিলীন করে দিয়েছেন। প্রকৃত কৃত্তিবাসের রামায়ণ কাব্যের সন্ধান পাওয়া আজ বোধহয় সম্ভব নয়।
প্রথম অধ্যায়ে কৃত্তিবাস বাঙালি পাঠকের রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী বাল্মীকি-রামায়ণের কাহিনিকে কোথায় কোথায় পরিবর্তন করেছেন, তা নির্ণয় করার একটি প্রয়াস আছে।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে আছে রামায়ণে বর্ণিত প্রধান প্রধান চরিত্রের আলোচনা এবং এ ক্ষেত্রে বাল্মীকি ও কৃত্তিবাসের মধ্যে সাদৃশ্য-অসাদৃশ্য চিহ্নিত করার চেষ্টা।
তৃতীয় অধ্যায়ে রয়েছে রামচন্দ্রাদির সম্ভাব্য বয়ঃক্রম নির্ধারণের প্রচেষ্টা। বাল্মীকি ও কৃত্তিবাস তাঁদের রামায়ণের কাহিনির মধ্যে রাম ও সীতার, ভরত, লক্ষ্মণ, শত্রুঘ্নের বয়সের উল্লেখ করেছেন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.