মহম্মদ-চরিত ও মুসলমান ধর্ম্মের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
কৃষ্ণকুমার মিত্র
“মহম্মদের সময়ে কন্যাগণের পিতৃধনে কোন অধিকার ছিল না। পুত্র বর্ত্তমানে মুসলমান ভিন্ন অন্য কোন দেশে পিতৃসম্পত্তিতে কন্যার কোন অধিকার নাই। সুসভ্য খৃষ্টান ও সুসংস্কৃত হিন্দু জাতি পুত্র বর্ত্তমানে কন্যাকে সকল অধিকার হইতে বঞ্চিত রাখিয়াছে। কিন্তু সাম্যমন্ত্রে দীক্ষিত মহম্মদ যেমন পুত্রকে, তেমনই কন্যাকে পিতার ধনে অধিকারী করিয়া গিয়াছেন। নারীজাতির সাংসারিক অধিকার প্রাচীন কোন ধর্ম্মপ্রচারকই এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করিয়া যাইতে পারেন নাই।”
“বর্ত্তমান অথবা ভবিষ্যতে যাহাদের উন্নতির বিন্দুমাত্র আশা ছিল না, বর্ব্বরতা ও মূর্খতার অতলস্পর্শ কূপে যাহারা ডুবিয়াছিল, মহম্মদের আহ্বানে তাহারা জীবন পাইয়া জগতে জ্ঞান ও ধর্ম্ম, সভ্যতা ও উন্নতির বীজ বিক্ষিপ্ত করিয়াছিল; অনন্ত দুর্গতিগ্রস্ত ও পরপদানত জাতি নবজীবন লাভ করিয়াছিল; ইউরোপ যখন অসভ্য জাতির লৌহনিগড় গলায় পরিয়া মহা-অন্ধকারে ডুবিয়াছিল, তখন মুসলমানগণ জ্ঞানজ্যোতি প্রজ্জ্বলিত করিয়া অন্ধ নরনারীর পথপ্রদর্শক হইয়াছিল। মুসলমান হইতেই বর্ত্তমান ইউরোপের উন্নতির সূত্রপাত হয়।”
বর্তমান ভারতবর্ষের এক কঠিন সময়ে উনিশ শতকের লেখক কৃষ্ণকুমার মিত্রর এই বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করেই এর প্রকাশ করা হলো।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.