এসো পাপ করি
লেখক : হিমবন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
কী হল, চমকে গেলেন ? চারপাশে এত বিচারশীল জনমান, পুণ্যলোভ, এত বেশি পুণ্যপন্থী বিজ্ঞাপন, সেখানে ভাবছেন তো, এ কী অনাসৃষ্টি! আবহমানকাল পাপপুণ্যের দ্বন্দ্বে মানব-ইতিহাসের অক্ষরসমষ্টি আর অতিবাহিত সময় তবুও কি গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্র কিছু খুঁজে পেল? ধর্ম-বর্ণ-দেশ- জাতির নামে বরং বিষয়টি আরও জটিল এবং অমীমাংসার আবহে আরও অস্থির হয়ে উঠল নাকি ? সত্যের সাপেক্ষ স্বভাবই হল এই, যে যেভাবে যে অবস্থানবিন্দু আর দৃষ্টিকোণ থেকে তাকে দ্যাখে। আমরাও দেখলাম, পুণ্যের দোহাই দিয়ে মন্দির-মসজিদ নিয়ে কত বিবাদের চেহারা। জাতপাত নিয়ে, দেশে দেশে সীমান্তের এপাশে ওপাশে কত খুনখারাপি, যুদ্ধ । সেখানে থেকে সত্যশিবসুন্দরে ভরসা রেখে কবিতায় ফিরে আসা সহজ ছিল না। সুতরাং তথাকথিত পূণ্যকে শূন্যে ভেসে যেতে দেখে ভাবলাম, ঢের হয়েছে। ভুবনের ভার ভুবনের মাসির হাতে থাক। আমাদের হাতে থাক কলম, ক্রেডিট কার্ড আর মোবাইল ফোন। এই আশঙ্কাজনক গোধূলিসন্ধিতে নিজের মতন কিছু করা, ছবি আঁকা, ছবি বানানো, কবিতা লেখার মতো 'পাপ'- আর কী-ই বা হতে পারে ! তবু, তারপরেও, তাই 'এসো পাল করি'। এই আমাদের একদিন- প্রতিদিন। আমাদের বিবর, প্রজাপতি, পাতকের পাপ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.