হাওয়ার দাড়ি
লীলা মজুমদার
গ্রামের ছোট্ট ছেলে সোনদেও। জঙ্গল থেকে কুড়িয়ে এনে তাকে কোলেপিঠে করে মানুষ করেছেন ঠাকুমা। গ্রামকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে আরও কয়েকজন কচিকাঁচাকে নিয়ে সোনদেও উঠতে লাগল পাহাড়ে। জানতে পারল, এই সংকট কেবল তাদের গ্রামের নয়, গোটা মানব সভ্যতাই বিপন্ন। অবশেষে কি সে তার বাবা-মাকে খুঁজে পেল? লীলা মজুমদারের কালজয়ী লেখাটি যেমন ছোটোদের উপভোগ্য, তেমনই বড়োদেরও আনন্দ দেয়।
"সেখানে লম্বা লম্বা মিষ্টি ঘাস, কোনোটাতে বা লেবু পাতার মতো সুবাস। সেগুলো শুকিয়ে পোড়ালে মশা পালায়। তার চাহিদাও কম নয়। বনগাঁয়ের ছেলেমেয়েরা কম কাজের নয়। তবে আলো থাকতে থাকতে ওরা ঘরে ফিরে আসে, ওসব জায়গায় বেঁটেদের ভয়। বেঁটেরা বড় সাংঘাতিক হয়। তাদের কেউ চোখে দেখেনি, খালি চোদ্দ পুরুষ ধরে গল্প শুনে এসেছে।
পাহাড়ের ওপার থেকে আসে তারা। ভালুকটালুক নয়। তার চেয়েও অনেক ভয়ংকর। মুখে বিষ তীর লাগিয়ে পোয়াটাক পথ দূরে দাঁড়ানো মানুষকে ঘায়েল করে। চোখের দিকে চাইতে হয় না; চাইলে অমনি জাদু করে দেয়। তখন কি হতে কি হয়ে যায় তার ঠিক নেই। ছেলেমেয়েগুলো গেল হয়তো দশ জন, নিয়ে গেল পনেরোটা গরু ছাগল। ঘরে ফিরে গুণে দেখা গেল দশ জন ছেলেপুলেই এসেছে, কিন্তু জানোয়ার এসেছে সতেরো-আঠারোটা। তা কে সত্যি আর কে জাদু, তাই বা কে বলবে!........"
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি