ময়ূর সিংহাসন
শাহীন আখতার
প্রচ্ছদ : মুঘল চিত্র অনুসরণে নির্মাণ : তিস্তান
মোগল শাহজাদা সুজা পালাচ্ছেন। রাজমহল থেকে টেকনাফের দিকে। এই তাঁর আখেরি সফর। একদিকে তাঁর অন্তরে চলছে হরেক ভাবনা।
টানাপোড়েন—ক্ষমতার আর তা থেকে পিছিয়ে যাওয়ার পরিণতির, শরীরে প্রবাহিত তৈমুরের রক্তের আর পালায়নকারী বাস্তবতার, দৌলত আর কিসমতের। তিনি যাচ্ছেন। পেছনে চলছে কাফেলা। বাংলার দীর্ঘ পথজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে তাঁর পলায়নের স্থায়ী চিহ্ন—সড়কে, স্থাপনায়, মানুষের মুখে তৈরি হয়ে ওঠা গীতে।
শাহ সুজার পেছনে চলেছে এক প্রেমিকও। পেশায় কলমচি, আচরণে উভকামী। পথে পথে কত কিসিমের মানুষের সঙ্গেই না তার মোলাকাত—পর্তুগিজ জাহাজের লশকর, শোলক-কাটা জেনানা, মাতাল, হিজড়া-পানের আড়তদার, মক্তবের মিয়াজি। তাদের ধূলিমাখা কাহিনী এসে পৌঁছায় রোহিঙ্গাদের এ সময়ের রক্তাক্ত ইতিহাসে। এ কাহিনী যোগের—রাজাপ্রজা-নির্বিশেষে মানুষের সঙ্গে মানুষের, ইতিহাসের সঙ্গে বর্তমানের। শাহীন আখতার লোকগান থেকে বের এনেছেন সামন্তযুগের চাপা পড়া সাধারণ মানুষের কথা। তুলে ধরেছেন মানুষের চিরন্তন কুহকী মন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি