সুপ্রকাশ অঞ্চলচর্চা গ্রন্থমালা ৮
মোগলমারির সখি
ভাস্কর দাস
প্রচ্ছদের ছবি : লেখক
মোগলমারি। এযাবৎ বাংলার বুকে পাওয়া সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ নির্মাণ। তৈরি শুরু ষষ্ঠ শতকের প্রথম ভাগ থেকে, কারো কারো মতে আগের শতাব্দির শেষ থেকে। তারপর দুই বা তিনদফায় নির্মাণ, ক্ষয় ও পুনর্নির্মাণের কাজ চক্রবৎ চলেছে একাদশ/দ্বাদশ শতক অবধি। তার উজ্জ্বল সময়ে এই বিহার দু'হাজারের বেশি ছাত্র ও শিক্ষকের জ্ঞানার্জনের পুণ্যভূমির কাজ করেছে বলে অনুমান।
যে নাতিউচ্চ ঢিবি খুঁড়ে এই প্রত্নক্ষেত্র বেরিয়েছে, তার নাম সখিসোনার (মতান্তরে সখিসেনা বা শশীসেনা) ঢিবি। নামেই যেন ভোরের আলোর গন্ধ, মেঠোপথ দিয়ে চলা পল্লীবালার ত্রস্ত পায়ের নূপুরের রিনিঝিনি!
প্রত্নখনন, গবেষণা, প্রতিদিনের নতুন আবিষ্কারের সাক্ষ্যে ইতিহাস, তথ্য ও তত্ত্বের পুষ্টির বাইরে স্বল্পশিক্ষিত, কখনো বা নিরক্ষর মানুষের স্মৃতির কৌটোয় বন্দি হাজার বছরের এক পরণকথা, যা বলে এ স্থানের প্রাচীন নাম অমরাবতী। তার সামন্তরাজার নাম বিক্রমকেশরী। তাঁর আদরের দুলালি সখিসেনা, যার নিয়তির সুতো গিট বাঁধে তারই বাবার মন্ত্রীপুত্র অহিমানিকের সাথে। কিন্তু এমন অসম প্রণয়ের কুঁড়ি জাগল কোন সকালে? করল কি তারা সুখে ঘর?
মাটির বদলে মাটির গল্প খুঁড়ে দেখার চেষ্টায় সেই অলৌকিক বিভার খোঁজ রইলো এই বইয়ে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.