স্যমন্তক মণির সন্ধানে
অমিত দত্ত
প্রচ্ছদ শিল্পী : সুপর্বা দাস
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সমুদ্রের মাঝে দ্বারকা নগরী প্রতিষ্ঠা করেন। সেই দ্বারকাতে একজন রাজা থাকতেন, তাঁর নাম সত্রাজিৎ।
রাজা সত্রাজিৎ সূর্য উপাসক ছিলেন। তাঁর উপাসনায় সূর্যদেব সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে একটি মণি উপহার দেন যেটির নাম স্যমন্তক মণি। এই মণি তীব্র উজ্জ্বল ছিল এবং এটি প্রতিদিন তার প্রভুর জন্য বিপুল পরিমাণ সোনা উৎপাদন করত। এই মণিটি নিয়ে ভাগবতে ঘটনার ঘনঘটা আছে, এমনকি এই মণির সাথে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ আছে, আছে তাঁর অপবাদের সাথে লড়াই। দ্বারকার সাগরে নিমজ্জিত হওয়ার সাথে সাথেই এই মণিটিরও অন্তর্ধান ঘটে। না, একটু ভুল বলা হল, এটি আবির্ভূত হবে, হবে পাঁচ হজার বছর বাদে বর্তমান ভারতে।
বিংশ শতাব্দীতে দ্বারকা নগরী পুনরুদ্ধারের অনেক অভিযান হয়, সেইরকম একটি অভিযানের অংশ ছিলেন অচ্যুত গোস্বামী, ইনি ভলান্টারি রিটায়ারমেন্ট নিয়েছিলেন আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া থেকে। তাঁরই এক সহকর্মী ছিলেন মোহনলাল দেশাই, একজন গুজরাতী মানুষ। সাথে ছিলেন হিমাদ্রি বর্মা। অচ্যুতবাবু অবসর কাটান ট্রেকিং করে। সঙ্গে থাকে তাঁর ভাইপো অংশু। মাঝে পনেরো ষোলো বছর কেটে গেছে।
অচ্যুতবাবুর এই আপাত শান্তিপূর্ণ জীবনে হঠাৎ আলোড়ন নেমে আসে, নেমে আসে মুম্বইতে ঘটে যাওয়া একটি খুনের ঘটনা ঘিরে। একে একে জড়িয়ে পড়েন তিনি, তাঁর ভাইপো, মোহনলাল, হিমাদ্রি বর্মা এবং অত্যন্ত বিস্ময়করভাবে তিনি এবং তাঁর সাথে সাথে অনেকেই দেখতে পান কীভাবে একটি মিথ সত্যরূপে সামনে এলো, শুধু তাই নয় তা ভারতে ভীষণ, গভীর দুর্যোগের সূচনা করল। তাঁদের সামনে উপস্থিত হল একটি গোপন সংগঠন এবং তার সর্বময় কর্তা দিবাকরানন্দ যিনি একজন উচ্চ মার্গের যোগীও বটে, সাথে সাথেই সংহারের সহযোগী হিসাবে হাজির হল মাওবাদী, বিদেশী শক্তি এবং কিছু লোভী মানুষ। অচ্যুতবাবু কি পারবেন এই ভয়ঙ্কর অপশক্তির সাথে লড়াই করে দেশকে বাঁচাতে ? ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কি আবার আবির্ভূত হবেন ধরাধামে ? স্যমন্তক মণিরই বা কী ভূমিকা এই সামগ্রিক ঘটনাপ্রবাহে ? সব কিছুরই উত্তর লুকিয়ে আছে এই অদ্ভুত উপন্যাসে যার নাম ‘স্যমন্তক মণির সন্ধানে’।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি