ঠাকুরবাড়ির বিবাহকথা
শান্তা শ্রীমানী
বাড়ির পুরোনো দাসী, মনিব বাড়ির নাড়ীনক্ষত্র যার নখদর্পণে সে যেত মেয়ে দেখতে। আশীর্বাদ ও পাকা দেখার সময় যেত নানান খেলনা, কাপড়জামা ও মিষ্টি। দিগম্বরীকে দ্বারকানাথের জন্য পছন্দ করে এনেছিল বাড়ির পুরোনো দাসী মনুবুড়ি।
রবীন্দ্রকন্যা মীরা দেবীর বর নগেন্দ্রনাথ বিয়ের সময় বিবাহবাসরে অদ্ভুত সব কাণ্ড কারখানা শুরু করলেন। মালাটা ছুঁড়ে কনের গলা এক হাতে চেপে ধরে হ্যাঁচকা টানে নাকে মুখে সন্দেশ গুঁজে দিল। আতর হুড় হুড় করে ঢেলে দিল কনের গায়ে। প্রণাম করার সময় মাধুরীলতার পা কামড়ে দিল।...
রথীন্দ্রনাথ ও প্রতিমা দেবীর বিবাহের এক সপ্তাহ পরেই কবি তাঁর ষোড়শী পুত্রবধূর হাতে সংসার খরচের সমস্ত দায়িত্ব তুলে দিলেন। রবীন্দ্রনাথ কখনই রথীন্দ্রনাথ-প্রতিমা দেবীর সঙ্গে একই বাড়িতে থাকেননি। তিনি বলতেন- 'খুব আত্মীয় হলেও পরস্পরের মধ্যে একটা ফাঁক থাকা উচিত- সেটা স্বাস্থ্যকর, শান্তিকর। নিজে স্বাধীন থাকলে অন্যকে স্বাধীনতা দেওয়া যায়।' এমনই হাজারো ঘটনা 'ঠাকুরবাড়ির বিবাহকথা'-র পাতায় পাতায়।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি