বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায় স্মারকগ্রন্থ
১২৫তম জন্মবর্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি
সম্পাদনা: রামকৃষ্ণ দে ও চন্দন সরকার
বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায় (১৮৯৮ – ১৯৭৪) মুক্তিসংগ্রামী চারণকবি, দেশব্রতী ও সাংবাদিক। জন্ম পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে। ১৯২০-২১ খ্রিস্টাব্দে বি. এ. পড়ার সময়ে অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান ও নদিয়া জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক। জীবনের প্রথমদিকে সুভাষচন্দ্র, হেমন্তকুমার সরকার ও কবি নজ়রুলের অনুসারী হলেও, রাজনৈতিক আদর্শে তিনি ছিলেন পরিপূর্ণ গান্ধিবাদী। ১৯২২ ও ১৯২৩-২৪-এ কারাদণ্ড। রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে ১৯২৪-২৫ সালে শান্তিনিকেতনে শিক্ষকতা করেছেন। কর্মজীবনে পেশা ছিল সাংবাদিকতা। বহু পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। ‘বঙ্গবাণী’ পত্রিকার সহ-সম্পাদক থাকাকালে তাঁর বিখ্যাত কাব্য ‘সব-হারাদের গান’ প্রকাশিত হয়। ১৯৩০-এ কলকাতার সাংবাদিকতার কাজ ছেড়ে লবণ-সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সময়ে নদিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ ও কারাবরণ। ১৯৩৪-এ ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য় যোগদান; সাপ্তাহিক ‘দেশ’ পত্রিকার অন্যতম সংগঠক ও প্রথম সহ-সম্পাদক। ১৯৪২-এ আবার আন্দোলনে যোগ দিয়ে এক বছর জেলে কাটান। পরে ‘দৈনিক লোকসেবক’, ‘কৃষক’, ‘ঊষা’ প্রভৃতি পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। উত্তরকালে ‘চারণকবি’ হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন। রবীন্দ্রকাব্য ও তাঁর জীবনের একজন বিশিষ্ট সমালোচক, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তাঁর রবীন্দ্রনাথ সংক্রান্ত গ্রন্থ ‘বিদ্রোহী রবীন্দ্রনাথ’ ১৯৩২ সালে ইংরেজ সরকার বাজেয়াপ্ত করে। দেশের প্রথম ও দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। ১৯৪৪ থেকে কৃষ্ণনগরের ‘শ্রীরামকৃষ্ণ পাঠাগার’ নামক সংস্থার মাধ্যমে সমাজ-গঠনমূলক কাজে আত্মনিয়োগ করেন। পরবর্তীকালে নদিয়া জেলার বড় আন্দুলিয়ার পল্লি-পরিবেশে আমৃত্যু গঠনমূলক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার কাজে লিপ্ত ছিলেন। সমাজ-সংগঠক ও শিক্ষাব্রতী হিসাবে লোক সেবা শিবির স্থাপন করেন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.