নোনাজলের নকশা
পলাশ পোদ্দার
সমুদ্র-উপকূলবর্তী জনপদের জীবন-জীবিকা, তাদের দিনযাপন, সামাজিক ও রাজনৈতিক শোষণ এবং রাষ্ট্রীয় বঞ্চনায় নিরন্ন, অসহায় জেলে পরিবারগুলোর জীবনের উত্থান-পতন এই আখ্যানে চিত্রিত।
প্রতিবেশীদের উপর নিদারুণ অভিমানে জেলে বিপিন মালো বাদা ছেড়ে, মা মাতলাকে ছেড়ে একদিন যখন দিঘার সমুদ্রকে আশ্রয় করে ভালোভাবে বাঁচার স্বপ্নে বিভোর, ঠিক তখনই আবার তার জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। কিন্তু কেন? কী তার অপরাধ? কেনই-বা সমাজসেবাকে পাথেয় করে রাজনীতিতে পা রাখা তার বড়োছেলে অরুণকে দিঘা ছাড়তে হল? কেনই-বা এক অসহায় মায়ের চোখের মণি সৎছেলে বরুণকে হারিয়ে সে পাগলিনি? কেনই-বা মা পুতুলের দুই ছেলে রাতের আকাশের সবথেকে উজ্জ্বল তারাটার পানে তাকিয়ে বসে থাকে আজও? শকুনের দৃষ্টি নিয়ে ক্রুর ক্ষমতাবানেরা অট্টহাসি হাসে এক জেলে পরিবারের নিদারুণ অসহায়তায়।
ঘাম ঝরে সমুদ্রের নোনাজলের নকশা কতটুকু পালটায়? চোখের নোনাজলে যে নকশার রূপরেখা তৈরি হয়, তা দেখে মানবিক পাঠক কবে খুঁজে পাবেন প্রতিবাদের ভাষা? সমগ্র আখ্যানটি এই জিজ্ঞাসার আততিতে ব্যঞ্জিত।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.