সুন্দরী লেন
নয়ন বসু
প্রচ্ছদ- তপতী ব্যানার্জি
উত্তর কলকাতার এঁদো গলি, সেই একটা ভীষণ অদ্ভুত গন্ধ, হাড় বের করা প্রবীণ ফুটিফাটা কার্নিশের বাড়ি, লোহার ঘোরান সিড়ি, বারান্দার জাফরি কাটা রেলিং এবং বিকেলবেলা পাড়ার ক্লাব থেকে ভেসে আসা হারমোনিয়াম দিদিমণির পুরান সেই দিনের কথা…এসব দৃশ্যমানতা এবং ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অন্বয়গুলোর মধ্যে দিয়ে নদীর মতো এঁকেবেঁকে একটা অদৃশ্য রাস্তা চলে গেছে। এমনি সময় সেই রাস্তাটা দেখা যায় না। অভিমানী কিশোর যখন আকাশের দিকে তাকিয়ে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ছাতা নিতে ভুলে যায়, সবুজ খড়খড়ির জানলার ওপাশে যখন বৃদ্ধ শূন্য চোখে চেয়ে থাকেন, মৃত বন্ধুর জন্য জলের দিকে চেয়ে প্রতিরাতে কোনো আহত প্রেমিক যখন অপেক্ষায় থাকে, তখন মেঘ কেটে কাঞ্চনজঙ্ঘা বেরিয়ে আসার মতো ওই রাস্তাটা হঠাৎ হঠাৎ করে প্রকট হয়ে ওঠে। ত্রিমাত্রিক এই জগৎটার বুকের ভেতর নামে অন্য মাত্রার এক অলৌকিক বৃষ্টি। অতিদূর নক্ষত্র থেকে প্রবাসী আলোর মতো চুঁইয়ে চুঁইয়ে নেমে আসে মায়া, মোহ, আদর আর অভিমান। সেই অলীক জলধারার থইথই জলে জলছবির মতো যে রাস্তাটা হঠাৎ হঠাৎ করে ভেসে ওঠে, নয়ন বসু সেই রাস্তাটার নাম দিয়েছেন সুন্দরী লেন। ঋতুরাজ, ইচ্ছামৃত্যু আর চুইংগাম এই তিনটি বড়গল্প আসলে আতিপাতি করে সেই সুন্দরী লেনের খোঁজ, সেই অতীন্দ্রিয় রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার গল্প। পাঠকদের সাদর আমন্ত্রণ রইল সেই মায়ালোকিত রাস্তার নক্ষত্র ভ্রমণের।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.